তৌফিক সুলতান (Ar : التوفيقي) [EN- Al Towfiqi] ১৯৯৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারী (বাংলা বৃহস্পতিবার, ২১ মাঘ ১৪০৫ বঙ্গাব্দ) ১৭ই শাওয়াল, ১৪১৯ হি: বাংলাদেশের গাজীপুর জেলার কাপাসিয়া উপজেলার অন্তর্গত বারিষাব গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
কবি ও লেখক তৌফিক সুলতান ( Poet and Writer Towfiq Sultan) ইসলাম তাজ বালিকা দাখিল মাদ্রাসার প্রাক্তন শিক্ষক আব্দুল করিম (1 January 1972) এবং ফাতেমা বেগমের (3 March 1982) জ্যেষ্ঠ সন্তান। কবির ছোট ভাই মুহাম্মদ ফাহিম আল তৌফিকী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
কবি ও লেখক তৌফিক সুলতান-এর বই
English :
Poet and Writer Tawfiq Sultan (BN-আল তৌফিকী)
Towfiq Sultan (Ar : التوفيقي) [EN- Al Towfiqi] was born on February 4, 1999 (Bangla Thursday, 21 Magh 1405 Bangabd) 17th Shawwal, 1419 AH: in Barishab village under Kapasia Upazila of Gazipur District, Bangladesh.
Poet and Writer Towfiq Sultan (Poet and Writer Towfiq Sultan) is the eldest child of Abdul Karim (1 January 1972), a former teacher of Islam Taj Balika Dakhil Madrasa, and Fatima Begum (3 March 1982). Kabir's younger brother Muhammad Fahim Al Tawfiqi is a student of Madrasa.
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল দেশ বিদেশের মানুষের অনেক স্মৃতি বহন করে চলছে। চিকিৎসক রুগী (attendance) রুগীর সাথের লোক সবার কতো সুখ দুঃখের স্মৃতি বহন করে চলছে এই হাসপাতাল।বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি সরকারি মেডিকেল কলেজ & হাসপাতাল । হাসপাতালের পশ্চিম পাশে মেডিকেল কলেজ এবং মেডিকেল কলেজএর উত্তর পাশে নতুন বিল্ডিং উত্তর দিকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বা জাতীয় শহীদ মিনার। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ১৯৪৬ সালের ১০ জুলাই প্রতিষ্ঠিত হয়।যা বর্তমানে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় চিকিৎসাবিজ্ঞান বিষয়ক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানে হতে স্নাতক পর্যায়ে পাঁচ বছর মেয়াদি এমবিবিএস ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন ডিগ্রি প্রদান করা হয়।
১৯০৪ সালে নবগঠিত পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের সচিবালয় হিসেবে ভবনটি স্থাপিত হয়। নতুন প্রদেশের স্বল্পস্থায়ী মেয়াদে এটি সচিবালয় হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। ১৯২১ সালে যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার যাত্রা শুরু করে, ভবনটির কর্তৃত্ব পায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। সেই সময় বিশাল এই ভবনের একপাশে ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টার, একাংশে ছিল ছাত্রদের ডরমেটরি এবং বাকি অংশ কলা অনুষদের প্রশাসনিক শাখা হিসেবে ব্যবহৃত হত। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তখন পুরো ভবনটিতেই স্থাপিত হয় ‘আমেরিকান বেস হাসপাতাল’। তবে যুদ্ধ শেষে মার্কিনীরা চলে গেলেও ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালটি থেকে যায়।
বৃহৎ এ হাসপাতালের ধারণক্ষমতা ২৩০০। তবে এটি প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ রোগিকে অন্তঃবিভাগে চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগ ও বিশেষায়িত ক্লিনিকগুলোতে অনেক রোগী দৈনিকসেবা নিয়ে থাকে।
ব্যবস্থাপনা
হাসপাতালের সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকেন হাসপাতালের পরিচালক। উপ পরিচালক ও সহকারী পরিচালকগণ এ ব্যাপারে তার সহায়ক হন। হাসপাতালের পরামর্শক, আবাসিক চিকিৎসক, রেজিস্ট্রার, সহকারী রেজিস্ট্রার, মেডিকেল অফিসার, ইন্টার্নসহ, নার্স ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মী ও কর্মচারীগণ পরিচালকের নিকট দায়বদ্ধ থাকেন। এছাড়াও ঢাকা মেডিকেল কলেজের বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক, সহযোগী ও সহকারী অধ্যাপকবৃন্দ সংশ্লিষ্ট বিভাগের শীর্ষ আধিকারিক হিসেবে চিকিৎসা কার্যক্রমের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকেন।
প্রথম থেকে একই কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকলেও ১৯৭৫ সালে প্রশাসনিক সুবিধার্থে কলেজ ও হাসপাতালের কর্তৃপক্ষ পৃথকীকরণ করা হয়। কলেজের দায়িত্বভার অর্পিত হয় অধ্যক্ষের উপর এবং হাসপাতাল পরিচালনার ভার পরিচালকের উপর। তবে উভয় কর্তৃপক্ষই বিভিন্ন কার্যক্রমে একে অপরকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রদান করে শিক্ষাদান ও চিকিৎসা সেবাদানের মধ্যে সামঞ্জস্য বিধান করে থাকে।
একটি মাত্র ভবন নিয়ে পথচলা শুরু করা ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের নিজস্ব প্রায় ২৫ একর জমিতে বর্তমানে রয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা- কলেজ ভবন, অডিটোরিয়াম, পরমাণু চিকিৎসা কেন্দ্র, ছাত্র ও ছাত্রী হোস্টেল, বার্ন ইউনিট ইত্যাদি। শুরুতে হাসপাতাল ভবনেই প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ক্লাস হলেও ১৯৫৫ সালে একাডেমিক কার্যক্রমের জন্য বর্তমান কলেজ ভবনটি নির্মিত হয়। এতে বেসিক সাবজেক্টগুলির জন্য স্থান বরাদ্দের পাশাপাশি আরও কিছু স্থাপনা রয়েছে। ২৮টি বিভিন্ন বিভাগ এবং হাসপাতালে ৪২টি ওয়ার্ডে ২৩৪ জন ডাক্তার, ২০০ জন ইন্টার্নি ডাক্তার, ৫৬০ জন নার্স এবং ১১০০ জন অন্যান্য কর্মচারী নিয়োজিত আছেন রোগীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসা দিতে। প্রায় ২৩০০ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন প্রায় ৩৫০০ জনকে চিকিৎসা প্রদান করা হয়। এ হাসপাতালকে ৫০০০ শয্যার হাসপাতালে রূপান্তরিত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে ।
স্মৃতিময় ঢামেক
বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন ষাটের দশকের বিভিন্ন ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় রাজনীতিতে ঢাকা মেডিকেল কলেজের ছাত্ররা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে। ১৯৭১এর মুক্তিযুদ্ধে এই কলেজ থেকে পাশ করা চিকিৎসক, তৎকালীন ছাত্র, কলেজ ও হাসপাতালে কর্মরত নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে।ডাক্তাররা এরশাদ সরকার ঘোষিত গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতির বিরুদ্ধে বিএমএর ব্যানারে ১৯৯০এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
গত ২৪ সেপ্টেম্বরের কথা বন্ধু মোশারফ আর আমি ডামেকহা'র ডক্টরস্ কেন্টিন থেকে রাতের খাবার শেষ করে ফিরছিলাম নতুন বিল্ডিং এর নিচতলায় আত্মীয়স্বজনের চিৎকার কারণ কিছুখন পূর্বে তাদের রুগী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। এমন ঘটনা প্রতিদিনই কম বেশি ঘটে অনেক হাসপাতালে রাখেনি শেষ আশ্বাস ডামেকহা এখান থেকে অনেক রুগী সুস্থ হয়ে উঠে। ডামেকহার প্রতিটি নার্স,ডক্টর, শিক্ষার্থী, কর্মচারী অনেক পরিশ্রমের সাথে যত্ন নিয়ে রুগীর সেবা দিয়ে থাকে।আপনি নিজ চোখে না দেখলে বুঝতে পারবেন না তারা কি পরিমাণ পরিশ্রম করে। তবে বেশির ভাগ অনিয়ম গুলো ঘটে বহিরাগতের দ্বারা ভিতরে তাদের সহযোগী থাকতে পারে। কিন্তু এই বিষয়ে নিশ্চিত ভাবে কিছু বলা যাচ্ছে না। একই দিনে রাজধানীর রমনা এলাকায় ‘জ্বালানি মন্ত্রণালয়’ লেখা একটি গাড়ির ধাক্কায় এক মোটর সাইকেলচালকের পা ভেঙে গেছে। তাঁর নাম ইকরামুল রাব্বি (২৭)। আহত হয়েছেন মোটরসাইকেলের আরোহী হেলাল উদ্দিন (২৮)। রোববার রাত সাড়ে আটটার দিকে হেয়ার রোডে এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল নিয়ে আসা হয়। ইমার্জেন্সি বিভাগে প্রতি রাতে অনেক এক্সিডেন্ট —এর পেশেন্ট আসে যারা সন্ত্রাসী হামলা কিংবা বিভিন্ন দূর্ঘটনার শিকার হয়েছে।
এই ঢামেকহাতে আমাদের অনেক স্মৃতি রয়েছে বগুড়ার জিহাদ, সাইফুর,অনামিকা, কুমিল্লার : মোশাররফ, কামরুল, ঢাকার : হাশমত,আনোয়ার, রাজিব,ফারহানা,মোরাদ,নাদিয়া কক্সবাজারের আজহার, সালাম ভাই সহ অনেকে ডিউটির ফাঁকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের ঘুরাঘুরি, কখনো সবাই মিলে ছুটে যেতাম লালবাগ, আহসান মঞ্জিল,কার্জন হল,টিএসসি,লালবাগের কেল্লা এখনো মনে হয় সেদিনের কথা সবাই সময়েে পরিক্রমায় পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে দ্বায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে। অনেকেই চলে গেছে নিজেদের দেশে কেউ কেউ চেম্বার করছে। আবার কেউ নিজেই হাসপাতালের মালিক তবে এখনো নিয়মিত ডিউটি করে যাচ্ছে আনোয়ার, মোশাররফ, হাশমত সবার জন্যই শুভকামনা মানব সেবায় মানুষের কল্যাণে নিজেকে বিলিয়ে দিবে এটাই প্রত্যাশা।
আয়েশা মেম ডাঃ শারমিন সুলতান, আঞ্জুমান মেম দের কথা মনে পড়ে যারা আমাদের কে যত্ন সহকারে শিখিয়েছেন চিকিৎসার জটিল সব বিষয়। তাছাড়া ডাঃ মামুন স্যার,দেবাশীষ স্যার, রাজিব স্যার সহ সবাইকেই মনে পড়ে কারণ তাদের অবদান আমরা কেউ কখনো অস্বীকার করতে পারবো না। সবার ভালোর জন্য সব সময় দোয়া করি তারা যেন ভালো থাকেন।
ঢামেকহার দৃষ্টিনন্দন ভবনটি সময়ের সঙ্গে পুরুনো হয়ে গেছে, পাশাপাশি হাসপাতালে দিন দিন রোগী বাড়ায় সেই রেল স্লিপারের ওপরেই নির্মিত হয়েছে সম্প্রসারিত ভবন। রোগীদের নিরাপদ আশ্রয় হওয়া ১২০ বছরের পুরনো এই ভবনটি এখন নিজেই আর নিরাপদ নেই। বর্তমানে মূল ভবনে হাসপাতালের পরিচালকের অফিস। এই অফিসের নিচেই ছিল ব্রিটিশদের অস্ত্র কারখানা। সম্প্রতি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মূল ভবন পরিদর্শনে অগ্নিকান্ডের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। ডাক্তার, নার্স, কর্মচারীরা বলেন, এই ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটি যেকোন সময় জগন্নাথ হলের মতো ভেঙে পড়ে বিভীষিকাময় অবস্থার সৃষ্টি করতে পারে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজমুল হক বলেন, ৫ হাজার বেডের নতুন ভবনটি নির্মাণ করতে ৫ থেকে ৭ বছর সময় লাগবে। এই সময়ে রোগীদের চিকিৎসা সেবা যাতে ব্যাহত না হয় সেজন্য পুরাতন ভবনের যে অংশ মেরামত করার অযোগ্য সেটা ভেঙে ফেলা হবে। আর যেটা মেরামত করার যোগ্য সেটা সংস্কার করা হবে।
বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহারে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ৫০০০ বেডের অত্যাধুনিক হাসপাতাল করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। সব ধরনের চিকিৎসা সেবার ব্যবস্থা রয়েছে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেডিসিন, সার্জারি, গাইনি, নিউরো সার্জারি, অর্থপেডিক, হৃদরোগ, বোন ম্যারো ট্রান্সপ্লান্টসহ সাব-স্পেশালাইজড সব ধরনের চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে এখানে। সঠিকভাবে চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত ও নতুন ভবন নির্মাণ করতে পূর্ব প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিবকে (উন্নয়ন) আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। হাসপাতালের মূল ভবন, ডিএসসি-২ ভবনের সামনে ডক্টরস হোস্টেলের রক্ষণাবেক্ষণ করাসহ তদন্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে দাখিল করেছেন।
স্থাপত্যবিদ ইকবাল হাবিব ইত্তেফাককে বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শত বছরের পুরনো যে ভবন রয়েছে তার ঐতিহাসিক গুরুত্ব রয়েছে। এখন আপনি চাইলেই এটা ভেঙে ফেলার সুযোগ নাই। ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করতে হবে। এই ভবনটি ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজরিত। এই ভবনটির নকশা ঠিক রেখে সংরক্ষণ করতে হবে। আমার বিশ্বাস এই কাজ করার মত মানুষ আমাদের আছে। তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন। ভবনটিকে কিভাবে সংরক্ষণ করা যায় সেটা ভেবে দেখবেন।
এ প্রসঙ্গে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, হাসপাতাল ভবন ও কলেজ বিল্ডিং ভাঙা হবে এটা ঠিক। তবে, তার আগে, বকশি বাজারে ডা, ফজলে রাব্বী হলের মাঠে দুইটি অবকাঠামো নির্মাণ করা হবে। এরপর পুরানো ভবন ভাঙার কার্যক্রম শুরু হবে।
ডাক্তার ও নার্সদের বিড়ে ক্যাম্পাস ও হাসপাতাল প্রাঙ্গণ
প্রতিদিন সকাল রাত দুপুরে বিড় জমে যায় রুগী ও তাদের আত্মীয় সজনদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল প্রাঙ্গণে। সকাল থেকে মেডিকেল শিক্ষার্থীদের আনাগোনা দেখা যায় মেডিকেল ক্যাম্পাসে। পাশেই অবস্থিত কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ২১ ফেব্রুয়ারী আসলে মানুষের ভীড় লেগে যায় এমন সৌন্দর্যে বিমোহিত হয়ে ওঠে শিক্ষার্থীদের মন। সকালে সবাই জড়ো হয় শ্রদ্ধা জানাতে এই শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে। যারা বাংলা ভাষা আন্দোলনে শহীদ (আত্নত্যাগ) হয়েছেন, তাদের স্মৃতি রক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছে এই শহিদ মিনার আর সেখানেই প্রতিদিন ভিনদেশী শব্দের সংমিশ্রণ।
ফেব্রুয়ারী মাসের ২১ তারিখ শহর ও বিভিন্ন প্রত্যন্তের এলাকা থেকেও অনেকে এ সময় এখানে আসে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য এক চিলতে সময় কাটানোর আশায়। কিন্তু বছরের সব দিন শহিদ মিনারে এই চিত্র দেখা যায় না।
অপর দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল প্রতিদিন একই চিত্র ভিন্ন ভিন্ন ভাবে ফুটে উঠে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ ক্যাম্পাসের ভেতরে ছোট্ট একটি বাগানের মতো আছে। সেখানে প্রায় সময় ক্লাসের ফাঁকে শিক্ষার্থীরা বন্ধুবান্ধব এক সাথে বসে আড্ডা ছবি তুলা হয়ে থাকে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সৃষ্টি হয়েছে মানুষের চিকিৎসা সেবা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সেখানেও দালালের খপ্পরে পরে প্রতারিত হচ্ছে অনেক রুগী ও তার স্বজনরা। চিকিৎসা সেবাটা কি আরও সহজতর করা যায় না। জানি কতৃপক্ষ যথেষ্ট চেষ্টা করছেন তবুও কোথাও যেন একটা কমতি থেকে যাচ্ছে চিকিৎসা সেবার মান নিশ্চয়তায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বহির্বিভাগ বা আউটডোর শুক্রবার, শনিবার ও সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিন সকাল ৮টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত রোগী দেখা হয়। তাই এই দিন গুলো তে সকাল ৮ পূর্ব থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত দেখা যায় রুগী, ডাক্তার,রিপ্রেজেন্টেটিভ এবং বিভিন্ন দালাল চক্রের আনাগোনা।
জরুরি বিভাগের ভীড় যেন কখনো শেষ হয় না সব সময় লেগেই থাকে। ওয়ার্ড গুলোতে দেখা মিলে রুগী ও সজনদের আর্তনাদ এসব দেখে যখন মন খারাপ হয়ে যায় তখন পূর্ব পাশের দিকটাতে খোলামেলা যায়গায় কিছুটা সবুজ ও ফুলের মুগ্ধতায় হারিয়ে যেতে হয় এক অনাবিল দুঃখ কষ্টের মধ্যে স্বপ্নের জগতে।
তখন একটা লাইন বার বার মনে পড়ে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। আমাদের দেশে কোনো ঘটনা সংঘটিত হওয়ার পর কিছুদিন আলোচনা থাকে, হৈ-চৈ শুরু হয় এটা নিয়ে কিছুদিন অনেকেই কথা বলে। কিন্তু ঘটনা যেন আর না ঘটে তার জন্য কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। তাই আসুন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে অনিয়ম এর বিরুদ্ধে নিজেদের দায়িত্ব-কর্তব্য পালন করি। পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের প্রতি আবেদন, তারা যেনো এসব বিষয়ে প্রয়োজনীয় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও যথাযথ ভাবে বাস্তবায়ন করে। কেন বললাম এই কথা তা জানেন? ঢাকা মেডিক্যাল এর আশে পাশে দেখা মিলে মাদক সেবনকারীদের যারা প্রকাশ্য মাদক সেবন করে যাচ্ছে। অথচ পাশেই পুলিশের গ্রুপ তাছাড়া কাছাকাছি অবস্থিত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
পুলিশ জনগণের বন্ধু এই কথাটার বাস্তবায়ন চাই শুধু কথা নয় কাজেও তা প্রমাণিত হউক। আরও একটি বিষয় শিক্ষার্থীদের দ্বারা যদি এখন থেকেই ভালো কাজের আলো ছড়িয়ে না পড়ে তবে ভবিষ্যতে মানুষ তাদের কাছ থেকে কি-ই বা আশা করতে পারে।
যাইহোক মূলকথা হলো প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম যদি এই সকল অনিয়ম বন্ধ এবং জনসচেতনতা সৃষ্টি নিজের প্রতি যত্নশীল ও জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় তবে হাসপাতালে রোগীর থেকে বেশি চিকিৎসক থাকবে বলে আমি মনে করি। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এমন অনেক রুগী দেখেছি যাদের মধ্যে কেউ কেউ ছিলো সিকিউরিটি গার্ড যাদেরকে ছুড়িক আঘাত করে জখম করেছে মাদকাসক্ত সন্ত্রাস চক্র এমন অনেক রুগী দেখেছি নিজেদের প্রতি যত্নশীল না হওয়ায় রুগ বাসা বেঁধেছে তাদের শরীরে। হতাশা, অবহেলায়, দুশ্চিন্তায় নিজেকে ঠেলে দিচ্ছে মৃত্যুর দারপ্রান্তে। তাই বলছি সচেতন থাকুন সৎ থাকুন সবাই মিলে সুস্থ থাকুন।
সমস্যা বোঝার চেষ্টা করুন , করুন সমাধান; পাশের মানুষের সাহায্যে এগিয়ে যান!
তরুণ মেধাবী কন্ঠশিল্পী'Oxygen RiyaN' যার স্বপ্ন গুলো আজ বাস্তবে রূপ নিচ্ছে আপনাদের ভালোবাসায়।
সালটা ছিল ২০১৮ তখন থেকেই তার গানের প্রতি এক আলাদা রকমের ভালোলাগা ভালোবাসা শুরু হয় এবং তার ভিতরে একটা সুপ্ত বাসনা জাগে তিনি একদিন অনেক বড় গায়ক হবেন। তারপর থেকেই তিনি গান লেখা গানের স্কেল, টিউন সম্পর্কে ধারনা নিতে থাকেন।
এবং আমরা দেখতে পাচ্ছি যা বর্তমানে তিনি বাস্তবে রূপ দিয়ে আসছেন। তিনি তার নিজ চ্যানেলের পাশাপাশি বেশ কয়েকটি চ্যানেলে যুক্ত আছেন। তিনি জানিয়েছেন তার পছন্দের একটি গান "তুমি আমার ছিলে অক্সিজেন" গানটি সম্পর্কে আরো বলেছেন জগতে প্রতিটি মানুষেরই একজন প্রিয় মানুষ থাকে, যাকে সে তার পৃথিবী মনে করে। আর আমার ভাষায় আমি তাকে বলে থাকি অক্সিজেন।
এবার "Next Entertainment" এর ব্যানারে নির্মিত কিছু গান আসতেছে বলে জানিয়েছেন এই তরুণ কন্ঠশিল্পী। পরিশেষে গান গুলোর মিউজিক কম্পোজার আতিক হাসান বলেছেন তার ভিতরে একটা সুন্দর প্রতিভা আছে। তার প্রত্যেকটি গানের কথা সুর আমার হৃদয় স্পর্শ করেছে। আশা করি দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে পারবো।
খামার বাড়ি ও সাংসদ ভবনের কাছে অবস্থিত তেজগাঁও মনিপুরীপাড়া মানুষের জীবন জিম্মি হয়ে আছে পানি ও গ্যাস এর কাছে। এখানে অনেক ছাত্র ছাত্রী ও চাকরিজীবীদের বসবাস সারাদিন থাকে না পানি রাতে কখনো কখনো ৮ দিকে পানি আসে আবার দেখা যায় ৯ টায় পানির অস্তিত্ব বিলীন। গ্যাস কখনো আসছে আবার চলে যাচ্ছে এই ভাবে মানুষ খুব কঠিন জীবন যাপন করছে যা রীতিমতো এক ধরনের জীবন যুদ্ধ। এমনিতেই জিনিস পত্রের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে তার ওপর জরিমানা জীবন বাঁচাতে পানি ও খাবার বাহির থেকে ক্রয় করে খেতে হচ্ছে। যার ফলে মাসের শুরুর দিকেই দেখা যাচ্ছে টাকার সংকট কি এক ভয়াবহ জীবন যাপন করছে এই এলাকার মানুষ তা এখানকার মানুষজনই জানে তাই কতৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এই এলাকার পানি ও গ্যাস সমস্যা নিরসন করে মানুষকে সস্থিতে নিঃশ্বাস ফেলার সুযোগ দিন।
পানির সংকট নিরসরেন ব্যবস্থা করুন এই সমস্যা দীর্ঘ দিন যাবত চলছে তবে ইদানীং পানির সংকট মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। শীতকালে রাজধানীসহ আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় গ্যাস সংকট তীব্র আকার ধারণ করে এই বিষয়টি বহুল আলোচিত। অথচ এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, গ্যাস সংকট হলে একদিকে ব্যাহত হয় শিল্প উৎপাদন, অন্যদিকে বাসাবাড়িতে রান্নাবান্নায়ও চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শীত এখনো আসেনি এর মধ্যেই দেখা দিয়েছে গ্যাস সংকট উলেস্নখ্য, সপ্তাহ দুয়েক ধরে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকার বাসাবাড়িতে গ্যাসের চাপ সর্বনিম্ন পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। আর এর ফলে অনেক এলাকার বাসিন্দা বাধ্য হয়ে বিকল্প ব্যবস্থায় রান্না করছেন।
আমরা মনে করি, সৃষ্ট পরিস্থিতি আমলে নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। কেননা, এর ফলে দুর্ভোগ ও ভোগান্তি কী পর্যায়ে পৌঁছতে পারে সেটি এড়ানোর সুযোগ নেই। বিশেষ করে শুক্রবার গ্যাস একেবারেই বন্ধ থাকে। এছাড়া গত কয়েক দিন ধরে দিনে কোনো গ্যাসই থাকছে না। সকালে কিছু সময়ের জন্য থাকছে আবার কখনো একেবারেই আসছে না।
বিশেষ করে গ্যাস ও পানি সংকট সমস্যার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে তেজগাঁও মনিপুরীপাড়া ৫ নং গেইট এর বাসিন্দারা।
এমন পরিস্থিতি আমলে নেওয়া উচিৎ যত দ্রুত সম্ভব গ্যাস ও পানির সংকট নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হোক এমনটিই কাম্য।
একজন লেখক হলেন এমন একজন ব্যক্তি, যিনি বিভিন্ন ধরনের এবং কৌশলের লিখিত শব্দগুলি যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করেন। লেখকরা বিভিন্ন ধরনের সাহিত্য শিল্প এবং সৃজনশীল লেখার জন্মদান করেন, যেমন উপন্যাস, ছোট গল্প, কবিতা, নাটক, চিত্রনাট্য এবং প্রবন্ধ পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিবেদন গুলি এবং খবর নিবন্ধ যার প্রতি জনগণ আগ্রহী হতে পারে। লেখকদের লেখা বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। দক্ষ লেখক, যাঁরা ভাষার মাধ্যমে ধারণাকে ভালভাবে প্রকাশ করতে ব্যবহার করতে সক্ষম হন, একটি সমাজের সংস্কৃতিতে তাঁদের অবদান অপরিসীম।
চারুকলার ক্ষেত্রে "লেখক" শব্দটি অন্য কোথাও ব্যবহৃত হয় – যেমন গীতি লেখক – তবে শুধু "লেখক" বললে সাধারণত, যিনি লিখিত ভাষা তৈরি করেন, তাঁকে বোঝায়। কিছু লেখক মৌখিক প্রথা থেকে কাজ করেন। লেখক বলতে কোন ব্যক্তি কর্তৃক রচিত লিখন কর্ম বা কোন কিছু লেখাকে বুঝায়। তবে যে কোন লেখার অধিকর্তাই লেখকরূপে স্বীকৃতি পান না; তাঁর লেখায় সাহিত্যিক গুণাবলী থাকতে হবে। সাধারণতঃ যে ব্যক্তি বা ব্যক্তিগণ সৃষ্টিশীল কোন লেখনী কিংবা লেখাকে পেশা হিসেবে গ্রহণ করেন, তিনিই লেখকরূপে গণ্য হয়ে থাকেন।
লেখকরা কাল্পনিক বা বাস্তব বেশ কয়েকটি রীতির উপাদান তৈরি করতে পারেন। অনেক লেখক তাঁদের ধারণাকে সবার কাছে পৌঁছে দেবার জন্য একাধিক মাধ্যম ব্যবহার করেন – উদাহরণস্বরূপ, গ্রাফিক্স বা চিত্রণ। নাগরিক এবং সরকারী পাঠকদের দ্বারা, অ-কাল্পনিক প্রযুক্তিবিদদের কাজের জন্য, সাম্প্রতিক আরেকটি চাহিদা তৈরি হয়েছে, যাদের দক্ষতা ব্যবহারিক বা বৈজ্ঞানিক প্রকৃতির বোধগম্য, ব্যাখ্যামূলক দস্তাবেজ তৈরি করে। কিছু লেখক তাঁদের লেখাকে আরও বোধগম্য করার জন্য চিত্র (অঙ্কন, চিত্রকর্ম, গ্রাফিক্স) বা মাল্টিমিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। বিরল দৃষ্টান্তে, সৃজনশীল লেখকগণ তাঁদের ধারণাগুলি সংগীতের পাশাপাশি শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করতে সক্ষম হন। লেখকের স্ত্রীবাচক শব্দ হচ্ছে লেখিকা। লেখককে অনেকক্ষেত্রে গ্রন্থকারের সমার্থক শব্দরূপে গণ্য করা হয়। কিন্তু লেখক শব্দটি মূলতঃ ব্যাপক অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাঁদের নিজস্ব রচনাগুলি সৃষ্টির পাশাপাশি, লেখকরা প্রায়শই কীভাবে তাঁরা লেখেন সেটাও প্রকাশ করেন অর্থাৎ যে প্রক্রিয়াটি তাঁরা লেখার জন্য ব্যবহার করেন; কেন তাঁরা লেখেন? তাদের প্রেরণা কি? এবং অন্যান্য লেখকের কাজের বিষয়েও মন্তব্য সমালোচনা করেন।লেখকরা পেশাদার বা অপেশাদারভাবে কাজ করেন, অর্থাৎ, অর্থের জন্য বা অর্থ ছাড়াই, এছাড়াও অগ্রিম অর্থ গ্রহণ করে বা কাজ শেষ করার পর কেবল তাঁদের কাজ প্রকাশিত হবার পরে। অর্থ প্রাপ্তি লেখকদের অনেক অনুপ্রেরণার মধ্যে একটি, অনেকে তাঁদের কাজের জন্য কখনও কোন অর্থই পান না। তাছাড়া লেখকদের লেখা বিভিন্ন পত্রিকায় ও বই আকারে প্রকাশনী—থেকে প্রকাশিত হয় যা লেখকদের লেখার দিকে উৎসাহিত করে।
লেখক শব্দটি প্রায়শই সৃষ্টি মূলক লেখক এর প্রতিশব্দ হিসাবে ব্যবহৃত হয়, যদিও পরবর্তী শব্দটির কিছুটা বিস্তৃত অর্থ রয়েছে এবং লেখার কোনও অংশের জন্য আইনি দায়িত্ব জানাতে ব্যবহৃত হয়, এমনকি এর রচনাটি বেনামে, অজানা বা সহযোগী হলেও।
লেখকদের প্রকারভেদ :
১। ঔপন্যাসিক - যিনি উপন্যাস রচনা করেন।
২। কবি - যিনি কবিতা লিখেন।
৩। ব্লগ লেখক বা ব্লগার - যিনি সামাজিক যোগাযোগ ওয়েবসাইট ব্লগে লিখেন।
৪। লেখকরা তাদের ধারণাগুলি প্রকাশ করার জন্য সাহিত্য রীতির শ্রেণির মধ্যে থেকে একটি পছন্দ করেন। বেশিরভাগ লেখাই জন্য অন্য একটি মাধ্যমের ব্যবহারের জন্য অভিযোজিত হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, কোনও লেখকের কাজ - ব্যক্তিগতভাবে পড়া বা আবৃত্তি বা কোনও নাটক বা চলচ্চিত্রে পরিবেশিত হতে পারে। যেমন কোন ব্যঙ্গাত্মক রচনাকে একটি কবিতা, একটি প্রবন্ধ, একটি চলচ্চিত্র, একটি কমিক নাটক, বা সাংবাদিকতার একটি অংশ হিসাবে লেখা যেতে পারে। কোনও চিঠির লেখকের মধ্যে সমালোচনা, জীবনী বা সাংবাদিকতার উপাদান অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে।
অনেক লেখক বিভিন্ন ধারায় কাজ করেন। ধারাটি স্থিতিমাপ তৈরি করে তবে সমস্ত ধরনের সৃজনশীল অভিযোজনেরও চেষ্টা করা হয়: উপন্যাস থেকে চলচ্চিত্র; কবিতা থেকে নাটক; ইতিহাস থেকে সংগীত। লেখকরা তাঁদের সাহিত্যচর্চা একটি ধারায় শুরু করতে পারেন এবং তারপর অন্য একটি ধারায় চলে যেতে পারেন। উদাহরণ স্বরূপ, ইতিহাসবিদ উইলিয়াম ডালরিম্পল শুরু করেছিলেন ভ্রমণ সাহিত্য রচনার ধারায় এবং একজন সাংবাদিক হিসাবেও লেখেন। অনেক লেখক কথাসাহিত্য এবং অ-কাল্পনিক উভয় রচনাই সৃষ্টি করেছেন এবং অন্যরা দুটি ধারাকে অতিক্রম করে এমন একটি ঘরানায় লিখেন। উদাহরণস্বরূপ, জর্জেট হায়ার এর মত ঐতিহাসিক প্রণয় কাহিনীর লেখক, ঐতিহাসিক সময়সীমার মধ্যে তাঁর চরিত্রদের এবং গল্পের পটভূমিকে রাখেন। এই ধারায়, ইতিহাসের যথার্থতা এবং কাজের সত্য ঘটনা বিশ্লেষণের স্তর উভয়ই বিতর্কিত হতে থাকে। কিছু লেখক সৃজনশীল কথাসাহিত্য এবং গুরুতর বিশ্লেষণ উভয়ই লেখেন, কখনও কখনও তাঁদের কাজ পৃথক করতে বিভিন্ন নাম ব্যবহার করেন। উদাহরণস্বরূপ, ডরোথি সায়ার্স অপরাধ কল্পকাহিনী লিখেছেন, তবে তিনি নাট্যকার, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক এবং সমালোচকও ছিলেন।
রম্য লেখক—এখন সন্দেহ হচ্ছে, এই শ্রেণিবিভাগ আছে কি? কেউ কি শুধু রম্যই লেখেন?
সাংবাদিক—সংবাদ অবশ্যই লেখা। কাজেই এটা লেখকের আরেকটা ধরন। কিন্তু সব লেখা সংবাদ নয়। আবার সব সংবাদ কে লেখা মানতেও নারাজ অনেকে। আসমা বৃত্তি পাইয়াছে’—এই সংবাদ লেখক হয়তো লেখক/সাহিত্যিক ক্যাটাগরিতে পড়েন না।
কলামিস্ট—এবার ক্যাটাগরিটা ইংরেজিতে। বাংলা কী হবে? যদি বাংলা না থেকে থাকে, তাহলে ধরেই নিতে হবে এটা নতুন ক্যাটাগরি। আবহমান কাল ধরে বাংলা ভাষায় ছিল না। যিনি সংবাদপত্রে বা ম্যাগাজিনে ফিচারধর্মী লেখা লেখেন, তিনি কলামিস্ট।
লেখক—ওপরে অনেককে শুধু লেখক বললেই হয়। কিন্তু সবাইকে নয়। কবিকে লেখক বলা যাবে না, গীতিকারকেও না। নাট্যকারকে কি লেখক বলা যাবে? জানি না!
কথা থেকে যাচ্ছে, কে সাহিত্যিক দাবি করতে পারেন? সবাই? ওপরে প্রাবন্ধিককে সাহিত্যিক ক্যাটাগরি থেকে বাদ দিয়েছিলাম। না জেনেই। এখন বুঝতে পারছি, সেটা অবশ্যই সাহিত্যের একটা প্রধান ক্যাটাগরি। রবীন্দ্রনাথও প্রবন্ধ লিখেছেন। বেশ খারাপ লাগছে, কিন্তু ওপরে উঠে আবার মুছতে ইচ্ছা করছে না। প্রাবন্ধিক ভাইবোনেরা, নিজগুণে ক্ষমা করবেন। সায়েন্স ফিকশন লেখক ভাইবোনেরা, আপনাদের কাছেও একই আবেদন। এখন মনে পড়েছে, জুলভার্ন তো সায়েন্স ফিকশন লিখেছেন। তিনি একজন বিরাট সাহিত্যিক! তাহলে যে যা–ই বলুক, সায়েন্স ফিকশন একটা সৃজনশীল সাহিত্য হতেই হবে।
কাজেই বুঝতেই পারছেন, তাড়াহুড়োর মধ্যেও বেশ একটা প্রয়োজনীয় জিনিস নিয়ে অনেক কিছু উদঘাটন করা হলো, অনেক কিছু আবার অনুদঘাটিত থেকে গেল। গবেষণা হচ্ছে একটা কাঠিদৌড়ের মতো। আমি যেখানে থামব, সেখান থেকে আরেকজন কাঠি হাতে নিয়ে ছুটবে। তফাত হলো কাঠিদৌড়ে আগের পরের সবাই, পুরা টিম পুরস্কার পায়। গবেষণায় পায় সব শেষের জন। আগের গবেষকগুলো হাপিস হয়ে যায়। এই হলো জগতের নিয়ম।